এলিয়েনরা বাস করে আমাদের মাঝেই, এই পৃথিবীতে!

প্রায় ৮০টি ভিন্ন প্রজাতির এলিয়েন বাস করছে আমাদের সাথে। এর মধ্যে ভিন গ্রহ থেকে আসা অন্তত ৪ টি প্রজাতি পৃথিবীতে মানুষের সভ্যতা শুরুর সময় থেকে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছে আমাদেরকে। রাশিয়ান টিভিতে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটাই দাবী করেছেন কানাডার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল হেলেয়ার। এছাড়া এক গোপন সামরিক ঘাটিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর সাথে একত্রে কাজ করছে এলিয়েনদের একটি প্রজাতি এমন অভিযোগও করেছেন ৯০ বছর বয়সী এই প্রবীন রাজনীতিবিদ। তার এই অদ্ভূত সাক্ষাৎকার বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে প্রায় সব পশ্চিমা মিডিয়া।

অবশ্য পল হেলেয়ারের জন্যে বিষয়টা নতুন কিছু না। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ইউএফও আর এলিয়েনদের নিয়ে একের পর এক থিওরি শুনিয়ে যাচ্ছেন মিডিয়াতে। তার বেশিরভাগই স্টার ট্রেক আর অন্যান্য হলিউডি মুভির ছাপ দুষ্ট হওয়া সত্ত্বেও শুনতে কিন্তু বেশ মজাই লাগে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এলিয়েনদের ব্যাপারে নতুন কিছু তথ্য দিয়েছেন। এই যেমন, খুব কমন একটা প্রশ্ন, এলিয়েনরা দেখতে কেমন? তার মতে, এলিয়েন বেশ কিছু প্রজাতি নাকি দেখতে মানুষের মতোই। আবার কিছু কিছু আছে একেবারে বিদঘুটে, তবে তাদের সাথেও আমরা পরিচিত। বিভিন্ন পৌরানিক চরিত্র নাকি গড়ে উঠেছে সেইসব এলিয়েনদের আদলেই। (কে জানে হয়তো প্রাচীন মিশর বা সুমের সভ্যতার সেইসব দেবতাগুলোই একেকটা এলিয়েন!) তারা বাস করে বিভিন্ন গ্রহ, বিভিন্ন গ্যালাক্সিতে। এমনকি শনি বা মঙ্গলের চাদগুলোতেও নাকি ভালো করে খুজলে পাওয়া যাবে তাদের অস্তিত্বের প্রমাণ।

এছাড়া হেলেয়ারের ভাষ্য অনুযায়ী, এলিয়েনদের নাকি একটা ফেডারেশনও আছে। অনেকটা আমাদের জাতিসংঘের মতো ( ওউ! তার মানে এইসব এলিয়েনরা শান্তিদূত হিসেবে এসেছে পৃথিবীতে!) সেখানে একদম কড়া নিয়ম করা আছে, কারো সভ্যতায় কেউ বিঘ্ন ঘটাতে পারবে না। এভাবে বেশ ভালোই চলছিলো সবকিছু। কিন্তু সেই ফেডারেশনের টনক নড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আনবিক বোমার আবিষ্কার ও হিরোশিমাতে বিষ্ফোরণের পর। তখন থেকেই তারা গণহারে আসতে শুরু করে পৃথিবীকে। (যাক! বুশ-ব্লেয়াররা না পারুক, অন্তত এলিয়েনরা আমাদের দুঃখটা বুঝতে পেরেছে।)

তবে এইসব এলিয়েনরা মোটেই মানুষের ক্ষতি চায় না, অন্তত এখানে আসা বেশিরভাগ এলিয়েনই নাকি মানুষের উপকার করার নেক নিয়তেই আসে আমাদের কাছে, দুই একটা বদ এলিয়েন যে নেই তা অবশ্য নয়। ২০১০ সালে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্স বলেছিলেন, এলিয়েনের অস্তিত্ব থাকলেও আমাদের উচিত হবে না তাদের কাছে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়া অথবা যোগাযোগের চেষ্টা চালানো, কারণ তারা যদি আমাদের থেকে শক্তিশালী হয় তাহলে এই পৃথিবীর সম্পদ, খনিজ, জীবজগৎ এর দখল চেয়ে বসতে পারে। এই কথা শুনে বেজায় চটেছিলেন পল হেলেয়ার। প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, হকিন্স জেনেশুনে এলিয়েন সম্পর্কে মিথ্যাচার করছেন।

মানছি সব খবরই বেশ উদ্ভট। তবে তার মধ্যে আরও উদ্ভট খবরটা এই এলিয়েন গবেষক দিয়েছেন এভাবে। মার্কিন গোপন সামরিক ঘাটি, হলিউডের কল্যানে আমরা যাকে এক নামে চিনি, সেই AREA 51 এ ‘টল হোয়াইট’ নামের এক প্রজাতির এলিয়েন যুগপৎ গবেষনায় লিপ্ত আছে মার্কিন বিমান বাহিনীর সাথে। এই ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করলে নাকি রীতিমতো তথ্য প্রমাণ হাজির করে দেখাতে পারবেন তিনি!

দেখা যাক! শেষপর্যন্ত এই হলিউডি কায়দার এলিয়েন থিওরি মানুষকে বিশ্বাস করাতে কি তথ্য প্রমান হাজির করেন এই গবেষক।

(শেষকথা: এর মধ্যেই এই খবরের বেশ মজার মজার প্রতিক্রিয়া পাওয়া শুরু হয়েগেছে। ইরানের ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ওবামা প্রশাসনের পেছনে আমেরিকার সরকার নাকি চালাচ্ছে এলিয়েনরা! উইকিলিকস ও এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করে দেয়া মার্কিন নথিপত্র ঘেটে নাকি এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। ঠিক একই এলিয়েনরা নাকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সামরিক সহায়তা দিয়েছিলো জার্মানীতে হিটলার এর নাৎসী পার্টিকে।)

3 comments

মন্তব্য করুন